Friday, December 30, 2022

কুষ্টিয়ায় শেষ হলো ক্র‍্যাক ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ক্যাম্প!




কুষ্টিয়া রাজবাড়ী মহাসড়কের মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন রহিমপুরে ১৩ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে চলছে‘ক্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ক্যাম্প’। শিল্পভাবনা প্রকাশের নতুন পথ সন্ধানের উদ্দেশ্য সামনে রেখে ২০০৭ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে এই আর্ট ক্যাম্প।

এই সময়ের সাম্প্রতিক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে (২৫ ডিসেম্বর) রবিবার থেকে শুরু হয় ৫ দিন ব্যাপি ক্র‍্যাক ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ক্যাম্প।

আজ শুক্রবার শেষ হলো এই আর্ট ক্যাম্প। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭টি দেশের প্রায় ২৮ জন শিল্পী এই আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন

এখানে শিল্প নির্মাণ উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় স্থানীয় বিবিধ উপাদান ও পারিপার্শ্বিক প্রতিবেশ। স্থানীয় পরিবেশের সঙ্গে সমন্বিতভাবে শিল্প চর্চার ধারাকে সামনে এগিয়ে নিতে ক্যাম্পের শিল্পীরা কাজ করেন এখানে।

এখানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী বলেন পুরনো যে সংস্কৃতি সেই সংস্কৃতির সেই শিল্পকর্মকে তারা তুলে ধরছেন দেখে ভালো লাগছে আমাদের দেশে তারা আসা এটা দেশের জন্য গর্ভবোধ মনে করেন।

কুষ্টিয়ায় এই আর্ট ক্যাম্পটির সূচনা হয়েছিল বিভিন্ন শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের উদ্যোগে। ২০০৭ সাল থেকে আর্ট ক্যাম্পটি নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

Monday, December 26, 2022

সম্মাননা পেলেন করোনাযোদ্ধা লায়ন এ জেড এম মাইনুল ইসলাম

 


২০১৯ এর ডিসেম্বরে চীনের উহান রাজ্যে প্রথম ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। এরপর এই মরণঘাতী ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। ২০২০ সালের মার্চের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর সারাদেশে সৃষ্টি হয় এক ভয়াবহ পরিস্থিতি।


করোনা নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িতদের মাঝেও তৈরি হয় অজানা আতঙ্ক। অদেখা-অজানা ভাইরাসের আতঙ্কে মানুষ হয়ে পড়েন ঘরবন্দী। মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত লায়ন এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশ তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে  বিনামূল্যে বিতরন করেন  সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও কোভিট -১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক আরসেনিকাম অ্যালবাম ৩০ (Arsenicum Album 30)।


একজন তরুণ সমাজসেবক ছাড়াও তিনি একজন লেখক, সাংবাদিক ও সংগঠক। বর্তমানে তিনি ‘‘ক্রাইম প্রতিদিন’’ পত্রিকার সম্পাদক, ‘‘অপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ চাই (অমুবাচা)’’ সংগঠনের চেয়ারম্যান, ‘‘সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম’’ বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের নির্বাহী সদস্য, ‘‘ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন (এফবিজেও)’’ এর সাংগঠনিক সচিব, ‘‘লায়ন ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল’’ এর সদস্য, ‘‘কাফরুল প্রেসক্লাব’’ এর সভাপতি, ‘‘মিরপুর প্রেসক্লাব’’ এর সহ-সভাপতি সহ বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছেন।


মহামারির দুঃসময়ে যখন মানুষ ঘরবন্দী, প্রিয়জনকেও এড়িয়ে চলেছেন, সেই সময়ে অনন্য মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এই মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত লায়ন এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশ। করোনাকালে কঠিন এই দায়িত্ব পালন করায় সব মানুষের প্রশংসা যেমন পেয়েছেন তেমনি পেয়েছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন (এফবিজেও) কতৃক বিশেষ সম্মাননা।


সম্মাননা পদক পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় লায়ন এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘‘কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়ার জন্য নয়, কোটি মানুষের ভালোবাসায় অপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য জম্ম নিয়েছি’’; ‘‘মানুষ মানুষের জন্য, এটাই হোক মানুষের ধর্ম’’।


তিনি আরো বলেন, মহামারির মতো এ রকম একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে সারা বিশ্বে তা ছিল কল্পনারও বাইরে। মানবিক দুর্যোগে মানুষের সেবা করাই ছিল আমার লক্ষ্য। ছোটকাল থেকেই স্বপ্ন ছিল মানুষের কল্যানে কাজ করা, করে যাচ্ছি, ইনশাআল্লাহ মৃত্যুর আগ মূহুর্তেও করে যাবো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।


উল্লেখ্য, উক্ত অনুষ্ঠানে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন (এফবিজেও) এর প্রয়াত  ভাইস চেয়ারম্যান নজির আহমদ ও যুগ্ম মহাসচিব এম এ মোতালেব হোসেন পরিবারকে মরণোত্তর সম্মাননা ও অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয় এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে দশ জনকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।


উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব ড. মোঃ শাহাদাত হোসেন ও ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ শহীদুল ইসলাম।

Thursday, December 15, 2022

কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানাধীন বাঁধবাজার পুলিশ ক্যাম্প বার্ষিক পরিদর্শন করলেন কুষ্টিয়ার সফল পুলিশ সুপার মহোদয়।।।

 




অদ্য ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২খ্রিঃ তারিখ জনাব মোঃ খাইরুল আলম, পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়া মহোদয়  অত্র জেলার কুমারখালী থানাধীন বাঁধবাজার পুলিশ ক্যাম্প বার্ষিক পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের শুরুতেই সালামী গ্রহণ ও সালামী প্যারেড পরিদর্শন করেন। অতঃপর ক্যাম্পের গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্ট্রারপত্র পর্যালোচনা, অফিসার ফোর্সদের দৈনিন্দন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, মালখানা ও হাজত খানা, সরকারী অস্ত্রগুলি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয় দাপ্তরিক কর্মবন্টন সুষম, সেবা প্রত্যাশীদের প্রতি যথাযথ সেবা প্রদানের প্রচেষ্টা অব্যাহত, সরকারী সকল সম্পদের সঠিক ব্যবহার ও সংরক্ষণ, বিভাগীয় লক্ষ্যে অর্জনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। মাননীয় আইজিপি মহোদয়ের নিদের্শনায় গঠিত বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে জনগনের দোরগোড়ায় পুলিশী সেবা পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়া মহোদয় বিট অফিসারদের নিয়ে মতবিনিময় করেন এবং বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন, নৈতিকতা বিবর্জিত কাজ বর্জন, জনসাধারণের সাথে উত্তম ব্যবহারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। পরিদর্শনকালে ক্যাম্পে কর্মরত অফিসার ফোর্সের সমস্যার বিষয়গুলি গভীর মনোযোগের সহিত শ্রবণ, তাৎক্ষনিকভাবে অনুপ্রেরনামূলক বক্তব্য উপস্থাপন এবং বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। পরিদর্শনকালে তিনি ক্যাম্পের  অফিসার ফোর্স ব্যারাক সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে পর্যবেক্ষণ করেন।


এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ মোহসীন হোসাইন, অফিসার ইনচার্জ,কুমারখালী থানা,কুষ্টিয়া, জনাব মোঃ হাফিজুর রহমান, আরওআই, রিজার্ভ অফিস কুষ্টিয়া সহ ক্যাম্পে নিয়োজিত অফিসার ও ফোর্সবৃন্দ।

ফাঁন্দে পরিয়া বগা কান্দে স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে ছাত্রীরা।

 



ছবির লোকটি একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি নিজ বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে যৌনপীড়ন মামলায় বরখাস্ত। উপজেলায় হাজিরা দিচ্ছেন। তিনি কোনো অফিসিয়াল কর্মকাণ্ড করতে পারবেন না। তবুও বিভিন্ন কাজে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করিতেছেন।


আজ বিদ্যালয়ে গেলে এলাকাবাসী তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে হাতজোড়া করে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।


পরিশেষে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।


বরখাস্ত ওই শিক্ষকের নাম মো. আব্দুল হালিম (৪০)। তিনি উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং কয়া ইউনিয়নের খলিশাদহ গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।

Wednesday, December 14, 2022

কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে দেশীয় মদ ও গাঁজা সহ ০২ জন গ্রেফতার।

 


 র‌্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এর নেতৃত্বে একটি চৌকষ আভিযানিক দল অদ্য ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখ বিকাল ০৪:৫৫ ঘটিকার সময় “কুষ্টিয়া জেলার সদর থানাধীন পৌরসভাস্থ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল এলাকায়’’ একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ০১ বোতল দেশীয় মদ ও ০৪ গ্রাম গাঁজা, যাহার আনুমানিক মূল্য ১,০৮০/- (এক হাজার আশি) টাকা সহ ০২ জন আসামি ১। মনিরুল ইসলাম প্লাবন(২২), পিতা-


শাহজাহান বিশ^াস, সাং-লাহিনী বটতলা এবং ২। মোঃ সানি ইসলাম সিজান(২৪), পিতা-মোঃ নাদিমুল ইসলাম, সাং-কালিসংকরপুর, উভয় থানা-সদর, জেলা-কুষ্টিয়া’কে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে ধৃত আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলায় সদর থানায় মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং উদ্ধারকৃত আলামতসহ ধৃত আসামিদেরকে কুষ্টিয়া জেলার সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এই ধরণের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখে মাদকমুক্ত সোনার বাংলা গঠনে র‌্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া বদ্ধপরিকর। র‌্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া’কে তথ্য দিন, মাদক, অস্ত্র ও জঙ্গীমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।

Tuesday, December 13, 2022

কুষ্টিয়ায় আবাসিক হোটেলে কলেজছাত্রীর মৃত্যু

 





কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়ায় একটি আবাসিক হোটেলে শয্যা বিশ্বাস (১৮) নামে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে  শহরের মজমপুর এলাকার রাতুল আবাসিক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। 


এঘটনায় সৌরভ সরকার জয় নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। সৌরভ টাঙ্গাইল জেলা সদরের বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন।


নিহত শয্যা বিশ্বাস কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার 

জানিপুর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামের উদায় বিশ্বাসের মেয়ে ও খোকসা সরকারি ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী তিনি।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকার রাতুল আবাসিক হোটেলে আসেন তারা। সেখানেই দুজন অবস্থান করছিল। আজ মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ করেই শয্যা বিশ্বাস অসুস্থতা বোধ করলে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।


এ বিষয়ে রাতুল আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার রিপন বলেন, রবিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা দুজন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে উঠেছিলেন।

তারা হোটেলেই অবস্থান করছিল। সন্ধ্যার দিকে শয্যা বিশ্বাস নামে ওই নারী অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। 


এ ব্যাপারে নিহতের পিতা উদায় বিশ্বাস বলেন, রবিবার (১১ডিসেম্বর ) সকালে শয্যা বিশ্বাস কলেজ যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হলে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি খোঁজখবর করে না পেয়ে আজ সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দিতে যাবো ভাবছি। ঠিক সন্ধ্যার দিকে মোবাইল ফোনে শয্যার মৃত্যুর খবর আসে। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, তাকে হত্যা করা হয়েছে। অবশ্যই এ ব্যাপারে থানায় আমরা মামলা দায়ের করবো।


এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।


কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন,আবাসিক হোটেলে

ওই কলেজছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা শুনে পুলিশ সেখানে যায়। তবে তার মৃত্যুর সঠিক কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এঘটনায় হোটেলে নিহত কলেজছাত্রীর সঙ্গে অবস্থানরত সৌরভ নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে ওই যুবকের দাবি, তারা দুজন স্বামী-স্ত্রী। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি নিহতের পরিবারের লোকজন। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



কুষ্টিয়ায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

 



কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় অসহায় ৩ শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে রিহ্যাবিলিটেশন অফ হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন।


মঙ্গলবার ( ১৩ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার দিকে কুষ্টিয়া হাইস্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে এ কম্বল বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিহ্যাবিলিটেশন অফ হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মির্জা আফরাজুর রহমান জিহানের সভাপতিত্বে ও সার্বিক তত্বাবধানে উপস্থিত ছিলেন মোঃ অনিক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রিহ্যাবিলিটেশন অফ হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন এবং বিশেষ অতিথিবৃন্দ ছিলেন, কুষ্টিয়া জজ কোর্টের (পিপি) অ্যাডভোট অনুপ কুমার নন্দি, সম্মিলিত সামাজিক জোট কুষ্টিয়ার সভাপতি ড. আমানুর আমান, কুষ্টিয়া, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ'র সাবেক সভাপতি এসএম কাদির শাকিল প্রমুখসহ সংগঠনটির অন্যান্য সদস্যরা।


এ সময় ৩ শতাধিত অসহায় ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।




কুষ্টিয়া।

Monday, December 12, 2022

আলহামদুলিল্লাহ

 


কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার ১০নং পান্টি ইউনিয়নের ভালুকা গ্রামের লক্ষন কুমার দাস পিতা হরিপদ দাস অদ্য ১১/০৯/২০২২ তারিখে ইসলামের সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে সপরিবারে ইসলাম গ্রহন করেন। এখন তার বর্তমান নাম মোঃ আব্দুল্লাহ ইসলাম। সে পেশায় সেলুনের কাজ করেন। ইসলাম গ্রহনের পর খুব অসহায়ত্ব ও কর্মহীন অবস্থার



সৃষ্টি হলে সামাজিক স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন 

Youth Development Forum এর উদ্যোগে  কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে সবার সহযোগিতার মাধ্যমে ১,৪৮,৮০০/= টাকা ব্যয়ে পান্টি পপি সুপার মার্কেটে একটি আধুনিক সেলুন ঘর প্রদান করা হয়। 

সেলুন ঘর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান YDF চেয়ারম্যান আশিকুল ইসলাম চপল এর সভাপতিত্বে Geust OF Honour ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় জনাব নুরুল ইসলাম নান্নু,সাবেক সহকারি প্রধান শিক্ষক,পান্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।   প্রধান অতিথি ছিলেন জনাব জিল্লুর রহমান, উপদেষ্টা সদস্য YDF। বিশেষ অতিথি বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও তারুণ্যের অহংকার জনাব রাশিদুজ্জামান তুষার, চেয়ারম্যান, ৯নং চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদ। আরো উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব জনাব সদর

উদ্দিন মল্লিক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি বাদশাহ মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মোহন বিশ্বাস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি নওশের আলী, হাফেজ মনিরুল ইসলাম, কামরুজ্জান রনি, ইমরান হোসেন সহ YDF এর সদস্য বৃন্দ। উদ্বোধন শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ শাহাদাত হোসেন। মহান সুবহানুতায়ালা আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে কবুল করুন। আমিন

Sunday, December 11, 2022

ব্যাটের অভাবে ঢাকা খেলা অনিশ্চিত বিভাগীয় সেরা রাবেয়ার






আন্ত: স্কুল ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগীতায় উপজেলা ও জেলা ছাড়িয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা খেলোয়ার হয়েছেন মোছা. রাবেয়া খাতুন (১৩)। এবার জাতীয় পর্যায়ে আগামী ১৯ ডিসেম্বর  ঢাকা শিশু একাডেমীতে খেলবে রাবেয়া। সেখানে খেলার জন্য দরকার একটা ভাল ও মানসম্মত ব্যাট। যা তাঁর নেই। ফলে একটি ব্যাটের অভাবে ঢাকা খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এই ক্ষুদে খেলোয়ারের।


রাবেয়া কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার খয়েরচারা গ্রামের ভ্যান চালক মো. মামুন হোসেনের মেয়ে ও তেবাড়িয়া শেরকান্দি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট সে।



জানা গেছে, ছোট বেলা থেকেই মেয়েটি ফুটবল, কাবাডি, হ্যান্ডবল, উচ্চ লাফ, ব্যাটমিনটন, ক্রিকেট সহ বিভিন্ন খেলায় সমান পারদর্শী। আর্থিক ও সামাজিক নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ইতিমধ্যে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে একাধিকবার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে সে। 


সম্প্রতি শীতকালীন প্রতিযোগিতায় (৫০) তম স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির উদ্যোগে (খুলনা ও বরিশাল বিভাগ) গোলাপ অঞ্চলের শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উচ্চ লাফে প্রথম স্থান অর্জন করে। মেয়েটি এখন এলাকার মানুষের কাছে প্রশংসিত ব্যক্তি।


এবিষয়ে রাবেয়া খাতুন বলেন, ' বড় খেলোয়ার হতে চাই। কিন্তু পরিবারের সেই রকম সামর্থ নেই। অর্থের অভাবে সব খেলা খেলতে যেতে পারে না। খেলা খেলতে ভাল সরঞ্জাম ও পোষাক লাগে। বাবার ইচ্ছে থাকলেও অর্থ নেই। এবার ব্যাডমিন্টনে বিভাগীয় সেরা হয়েছি। ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় খেলা। একটা ভাল ব্যাট দরবার। বাবা দিতে পারছেনা। সেখানে ভাল ব্যাট ছাড়া খেলা যাবেনা। কি করব তা এখনো জানিনা।'


ভ্যানচালক বাবা মামুন হোসেন বলেন, ' মেয়ে ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন খেলায় পারদর্শী। খেলোয়ার হতে চাই। মেলাবের সেরা পেলেয়ার ( খেলোয়ার) হয়েছে। এবার ঢাকা শিশু একাডেমিতে খেলবে। একটা ভাল ব্যাট দরকার। স্কুলের ক্রীড়া স্যারের কাছে গিছিলাম। তিনি বলেছেন কিনে নেওগা। কিন্তু আমার তো তেমন সামর্থ নেই। এছাড়াও ঢাকা যাওয়া, আসা, থাকা অনেক টাকার ব্যাপার। সাহায্য পেলে ভাল হতো।'


তেবাড়িয়া ম্যাধমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, রাবেয়া স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। তার খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ আছে, রাবেয়া অর্থনীতির সাপোর্ট পেলে আরো অনেক দূর যাবে। সে ৫০ তম শীতকালীন প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে উচ্চ লাফে ২য় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ১ম স্থান অর্জন করে। আমি তার সাফল্য কামনা করছি।'


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ' রাবেয়াকে ব্যাটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।'

Friday, December 9, 2022

কুষ্টিয়ায় সড়কে ঝরল শিশুর প্রাণ

 


কুষ্টিয়া শহরতলীর লাহিনী মধ্যপাড়ায় বালুবোঝায় ট্রলির চাপায় মাহিম শেখ (১০) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। 

শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে লাহিনী মধ্যপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত মাহিম শেখ কুষ্টিয়া পৌরসভার ২১নং ওয়ার্ডের লাহিনী কর্মকার পাড়ার সোবাহান হোসেনের ছেলে ও লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সে।


স্থানীয়রা জানান, আজ সকালের দিকে বাইসাইকেল চালিয়ে মাহিম তার বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। পথে লাহিনী মধ্যপাড়া এলাকায় বালুবোঝায় একটি ট্রলি তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,নিহত ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক ট্রলি চালককে আটক করা হয়েছে


 


Thursday, December 8, 2022

দৌলতপুরে নাশকতা মামলায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী আটক

 


দৌলতপুর(কুষ্টিয়া)প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলাতে নাশকতা মামলায় ৫ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ।

বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) রাত ৯ঃ৩০ মিনিটে তারাগুনিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে নাশকতামূলক কার্যক্রমে জড়িত থাকা অবস্থায় বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সকালে টুটুল নামে আরেকজনকে আটক করে পুলিশ। টুটুল বিএনপি'র অস্ত্র সরবরাহকারী বলে অধিক পরিচিত। 

এ সময় অবিস্ফোরিত অবস্থায় ৫ টি হাতবোমা, ২৩ টি বাঁশের লাঠি, ১২ টি লোহার রড, ২ টি শাবল, ২ বস্তা ইটের খোয়া, গাছ কাটার জন্য একটি হাত করাত উদ্ধার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ।

আটককৃত ৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী হলেন, রিফাইতপুর গ্রামের মোঃ রিপন সরকার(৪৫) পিতাঃ মৃত হবিবর রহমান, মিরের পাড়া গ্রামের মোঃ আজিজুল ইসলাম(৩৭) পিতাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, রিফাইতপুর গ্রামের মোঃ মিঠু(৩২) পিতাঃ মৃত নুর ইসলাম, তেকালা গ্রামের মোঃ রাশেদুল ইসলাম(৪৫) পিতাঃ শহিদুল ইসলাম, গোবরগাড়া গ্রামের মোঃ টুটুল হোসেন(৩২) পিতাঃ কেরু মোল্লা। 

দৌলতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি নাশকতার উদ্দেশ্যে তারাগুনিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বিএনপি জামায়াত নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়েছে এ সময় ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৮ ডিসেম্বর  সকালে আরেকজনকে আটক করি। এ ঘটনায় ৫ টি হাতবোমা সহ নাশকতার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করি। 

আটককৃত ৫ বিএনপি নেতাকর্মী সহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৮০/৯০ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামি করে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে যার নাম্বার ২৮, তারিখ ০৮/১২/২০২২। দুপুর ১ টার সময় কঠোর পুলিশি পাহারায় আটককৃতদের কুষ্টিয়া জেলা আদালতে প্রেরণ করে দৌলতপুর থানা পুলিশ।

Wednesday, December 7, 2022

দৌলতপুরে ৮ ডিসেম্বর পাক হানাদার মুক্ত দিবস

 



কুষ্টিয়ার দৌলতপুর পাক হানাদার মুক্ত দিবস আজ ৮ ডিসেম্বর, দৌলতপুর ৮ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয়, দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রামের পর ৮ ডিসেম্বর দৌলতপুর হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।


১৯৭১ সালে আদাবাড়িয়ার ব্যাঙগাড়ীর মাঠ, পিয়ারপুর ইউপি’র শেরপুর, চিলমারী ইউপি’র বাজুমারা, ফিলিপনগর, রামকৃষ্ণপুর ইউপি’র মহিষকুন্ডি, খলিশাকুন্ডি, হোগলবাড়িয়া ইউপি’র তারাগুনিয়া ও চামনায়, বিভিন্ন স্থানে সম্মুখ যুদ্ধে পরাজিত হয়ে এই দিনে পাকিস্থানী হানাদাররা মুক্তি যোদ্ধাদের কাছে আত্বসর্মপণ করে। দৌলতপুর হানাদার মুক্ত হয় এবং থানা চত্বরে বিজয় পতাকা উড়ায়নের মধ্যদিয়ে মুক্তিকামী বীর সূর্য সন্তানেরা দৌলতপুরকে হানাদার মুক্ত করেন।

দৌলতপুরকে হানাদার মুক্ত করতে পাকসেনাদের সাথে মুক্তি যোদ্ধাদের মোট ১৬টি সম্মুখ যুদ্ধ সংঘঠিত হয়। তৎকালিন দৌলতপুর থানায় পাক হানাদারদের সাথে সব চেয়ে বড় যুদ্ধ হয় ১৯ নভেম্বর, আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ব্যাঙ গাড়ী মাঠে, সেখানে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ২ জন মিত্র বাহিনীর সদস্য শহিদ হন। এ যুদ্ধে ৩ শতাধিক পাক সেনা নিহত হয়।


১৯৭১ সালের ২৬ শে নভেম্বর কুষ্টিয়ার সর্ববৃহৎ গেরিলা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল বর্তমান দৌলতপুর থানার শেরপুর মাঠ নামক স্থানে। এ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন তৎকালীন কমান্ডার মিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কুষ্টিয়া জেলা ইউনিট সরকারি ইউনিট কমান্ডার আফতাব উদ্দিন খান।

২৫ নভেম্বর পাক সেনারা শেরপুর মাঠে অবস্থান করে এবং মধ্যরাতে শেরপুরের নিরীহ গ্রামবাসীর ঘরে আগুন ধরিয়ে, বেপরোয়া ভাবে গুলি বর্ষণ শুরু করে পাক হানাদার বাহিনী, মুক্তিবাহিনী পাক হানাদারদের উপস্থিতি ও অবস্থান জানতে পেরে বর্তমান মিরপুর থানার চিথলিয়া এবং দৌলতপুর থানার শেরপুরের মধ্যবর্তী স্থানে সাগর খালি নদীর তীরে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করে। রাত আনুমানিক তিন টার দিকে পাকবাহিনী মুক্তিবাহিনীর সাথে মোকাবেলা করার জন্য ক্রমান্বয়ে অগ্রসর হতে থাকে। ২৬ নভেম্বর ভোর পাঁচটার সময় উভয়পক্ষ পরস্পরের মুখোমুখি হয়, প্রায় ছয় ঘন্টা তুমুল যুদ্ধের পর পাকহানা দার বাহিনী পিছু ঘটতে বাধ্য হয় এবং ৬০ জন পাক সেনা নিহত হয়।


অন্যদিকে শেরপুর গ্রামের হাজী মেহের আলী ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। একই গ্রামে হীরা ও আজিজুল নামে দুজন মুক্তিযোদ্ধার গুরুতর আহত হন, এছাড়াও ওই যুদ্ধে কমান্ডার আফতাব উদ্দিন খান, মইনুদ্দিন, কুষ্টিয়া জেলার আব্দুল জব্বার, হায়দার আলী সহ ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন।


 কুষ্টিয়া জেলায় সংঘটিত সর্ববৃহৎ এই গেরিলা যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর পরাজয় এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে মিরপুর থানার একটা বিরাট এলাকা মুক্তি বাহিনীর অবস্থান আরো সুদৃঢ় হয়। মুক্তিবাহিনী ক্যাম্প পাহাড়পুর গ্রামে স্থাপন করা সম্ভব হয়, যার ফলে ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বররের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। এভাবে কুষ্টিয়া জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় সূচিত হয়। মুক্তি যোদ্ধাদের তোপের মুখে পাকসেনা ও রাজাকাররা দৌলতপুর থানার অভ্যন্তরে আশ্রয় গ্রহণ করে। অন্য একটি তথ্যে পাওয়া যায় ২৯ নভেম্বর পিয়ারপুর ইউনিয়নের শেরপুর মাঠে পাক হানাদারদের সাথে আরো একটি বড় যুদ্ধ হয়। মরহুম মেহের আলির পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব ও আমদহ গ্রামের সলেমান ফরাজীর পুত্র ওয়ারেশ আলি শহিদ হন। এ যুদ্ধে শতাধিক পাক সেনা ও দুই শতাধিক আলবদর-রাজাকার নিহত হয়।


ভাগজোত মোড় এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ শহিদ হন, তারাগুনিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জেল হোসেন শহিদ হন, খলিশাকুন্ডি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল হক শহিদ হন, এসব খন্ড যুদ্ধে শতাধিক পাকসেনা নিহত হয়। কয়েক দিনের মধ্যে মুক্তি যোদ্ধাদের তোপের মুখে পাকসেনা ও রাজাকাররা দৌলতপুর থানার অভ্যন্তরে আশ্রয় গ্রহণ করে। 


৭ ডিসেম্বর পাকসেনারা রাতের আঁধারে পালিয়ে গিয়ে কুষ্টিয়া শহরতলীর জগতী বটতলী এলাকায় আশ্রয় গ্রহণ করে। দৌলতপুর থেকে পাকসেনারা পালানোর সময় রাত ৯টার দিকে মুক্তিবাহিনী চামনা-আল্লারদর্গা এলাকার বর্তমান বিএটিসি’র কাছে প্রতিরোধ গড়ে তুললে রাজাকার-পাকসেনার সম্মুখ যুদ্ধে ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের মরহুম সামসুজ্জামান খাঁনের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক খান নিহত হন ও কয়েকজন এলাকাবাসী আহত হন। 


এলাকাবাসী তার লাশ তারাগুনিয়া বর্তমান রফিক নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে রাস্তার ধারে দাফন করেন। তাঁর নাম অনুসারে এলাকার নাম ও স্কুলের নাম “রফিক নগর” নাম করণ করা হয়েছে এবং একটি স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিবছর এলাকাবাসী ৮ ডিসেম্বর দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আফাজ উদ্দিন আহমেদ বৃত্তি প্রদান

 



কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মেধাবী শিশু শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করেছে আফাজ উদ্দিন আহমেদ প্রাথমিক শিক্ষা বৃত্তি পরিচালনা কমিটি। ২শ' ১৭ প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মেধা যাচাইয়ে অংশ নেয়া ৩শ' ১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে বুধবার সকালে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ মিলোনায়তনে ৩১ জন শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি প্রদান  করা হয়। 


বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য  আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ । প্রয়াত সাংসদ ও আঃ লীগ নেতা আফাজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তবিবুর রহমান, দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহীর কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদা সিদ্দিকাসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।


বৃত্তি পরীক্ষায়  অংশগ্রহণকারীরা সবাই প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে সেরাদের সেরা পুরষ্কৃত হয়েছে কল্যানপুর সরকারী  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামিউল, বাহিরমাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শাহরিয়ার নাফিস এবং  তারাগুনিয়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাফিয়া আফরিন। অতিথিদের হাত থেকে বৃত্তির এককালীন টাকা ও পুরষ্কার গ্রহণ করেন শিক্ষার্থীরা।


গেলো ১৯ নভেম্বর স্থানীয় গার্লস ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো শিশু শিক্ষার্থীরা। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন এই শিশু শিক্ষা বৃত্তির মাধ্যমে আফাজ উদ্দিন বিশ্বাসের স্মৃতি যেমন স্মরণীয় হয়ে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম; তেমনি শিক্ষা গ্রহণে এবং নিজেদের মেধা বৃদ্ধিতে আগ্রহী হয়ে উঠবে স্কুল পড়ুয়া শিশুরা।

কুমারখালীতে ৭ টি অবৈধ ইট ভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর



পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ইট তৈরি করায়  আজ বুধবার  কুষ্টিয়ার কুমারখালীর যদুবয়রা ইউনিয়নে সাতটি ইট  ভাটা ধ্বংস  করা হয়েছে । খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী হাকিম আসিফুর রহমানের  নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।


যদুবয়রা ইউনিয়নের আরিফুল ইসলামের মেসার্স এস আরবি ব্রিকস ২ও ৩, বাকিব হোসেনের মেসার্স  বাকিব ব্রিকস, জাহিদুল ইসলামের মেসার্স সিফাত  ব্রিকস, , মো. করিম শেখের সৈনিক ব্রিকস ও সামছুল আলমের মেসার্স নিয়াত ব্রিকস, ওসমান গণির সাগর ব্রিকস। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তর ও কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয় কর্তৃক সকালে অভিযান শুরু হয়ে সন্ধ্যায় শেষ হয়। অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করায় সাতটি ইটভাটার আগুন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিভিয়ে দেন। পরে ড্রেজার দিয়ে ভাটার স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ও  ভাটার ৩০ লক্ষ কাঁচা ইট ধ্বংস করে দেয়া হয়। 

এ  সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের  উপ পরিচালক আতাউর রহমান, সহকারি পরিচালক হাবিবুল বাসার,পরিদর্শক কমলেস সরকার সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।  এছাড়া অভিযানে র‍্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 উপ পরিচালক আতাউর রহমান  বলেন, ওই সব ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। এগুলো নিয়মনীতি না মেনে অবৈধভাবে পরিচালনা করা হচ্ছিল। তবে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আমাদের  অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কুষ্টিয়ায় ফের চিকিৎসকের অবহেলায় সাংবাদিক অর্পণ মাহমুদের মায়ের মৃত্যু

 


মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর মা'কে নিয়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে হাসপাতালে যান আন্দোলনের বাজার পত্রিকার জ্যোষ্ঠ সাংবাদিক অর্পণ মাহমুদ।জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার আনুমানিক রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের মুখে পৌছানো মাত্রই তাঁর মায়ের অবস্থা আরও বেশি আশঙ্কাজনক হয়ে উঠে।স্ট্রেচার না পাওয়ায় তাঁকে জরুরি বিভাগের সেবা কক্ষে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।এমতাবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ইকবাল হাসান শোভনকে অনুনয়, বিনয় করেও তাঁর(অর্পণ)দেখানো সম্ভব হয় না। ফলে সেখানেই তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়।

হাসপাতালে উপস্থিত জনতা সূত্রে জানা যায়,সাংবাদিক অর্পণ মাহমুদ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁর মাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ডাক্তারকে চরম অনুনয়, বিনয় করেন।এভাবে প্রায় ২০ মিনিট অনতিক্রান্ত হলে তাঁর মায়ের অবস্থার আরও অবনতি হয়।তখন তিনি দিশাহারা হয়ে কর্বত্যরত ডাক্তারের পা ধরার চেষ্টা পর্যন্ত করেন।কিন্তু পাষণ্ড  ডাক্তার কোনভাবেই তাঁর (অর্পণ) মাকে দেখতে আসে না।এমতাবস্থায় ছটফট করতে করতে তাঁর মা  মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।পরে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে উপস্থিত হলে ডাক্তার দায় এড়াতে চিকিৎসার নাটক শুরু করে।


সাংবাদিক অর্পণ মাহমুদ জানান,আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমি মা'কে নিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে যায়। জরুরি বিভাগের সামনে পৌঁছালে আমার মায়ের অবস্থার আরও অবনতি হয়।কিন্তু স্ট্রেচার না পাওয়ায় মা'কে জরুরি বিভাগের সেবা কক্ষে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হই।কিন্তু মা'য়ের অবস্থা ক্রমশ সংকটাপন্ন হয়ে উঠে।তখন আমি কর্বত্যরত চিকিৎসক ইকবাল হাসান শোভনের কাছে যায়। তাকে ব্যাপকভাবে অনুরোধ করি।কিন্তু সে কোনভাবেই আমার মা'কে দেখতে তাঁর কক্ষের বাইরে আসে না।মা'য়ের অবস্থা আরও বেশি খারাপ হলে আমি তাঁর পা পর্যন্ত ধরতে যায়। কিন্তু সে না এসে আমার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে।ওই চিকিৎসকের অবহেলায়ই আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। আমি ওই ডাক্তারের বিচার চাই। 


সাংবাদিক অর্পণ মাহমুদের মায়ের মৃত্যুতে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর, সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলু,কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু,সাধারণ সম্পাদক এ্যাড শামিম উল হাসান অপু এবং জাতীয় মানবাধিকার সমিতি কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়া ইমন রুবেল শোক বার্তায় মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং শোক সম্পপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। 

কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় সাংবাদিক অর্পণ মাহমুদের মায়ের মৃত্যুতে কুষ্টিয়ার 

সর্বস্তরের গণমাধ্যম কর্মীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানিছেন এবং দোষীদের বিচারের জোর দাবি জানিয়েছেন।

কুষ্টিয়ায় ষ্টেশনের সংস্কারের দাবিতে আপ বাংলাদেশের গণস্বাক্ষর ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : দেশের অন্যতম প্রাচীন কুষ্টিয়া কোর্ট এষ্টেশনের জনদূর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। আর তাই এই সমস্যা দূরীকরণে কোর্ট ষ্টেশনের প্লাটফর্...