Wednesday, December 4, 2024

বাংলাদেশের জনগণ কারো দাদাগিরি পছন্দ করে না : জামায়াত

 ঢাকা অফিস ॥


আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকায় আগুনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির পক্ষ থেকে সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারত নিজের দেশে তার প্রতিবেশী দেশের কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা দিতে যেখানে ব্যর্থ, সেখানে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির দেশ, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দেশ বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলার কোনো অধিকার তাদের থাকতে পারে না।’ বাংলাদেশের জনগণ তাদের মাথার ওপর কারো দাদাগিরি পছন্দ করে না জানিয়েছে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণকে চোখ-কান খোলা রেখে সজাগ ও সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্যই বিদেশি যেকোনো আগ্রাসন রুখে দিতে পারে।
এ ঘটনা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিনষ্ট করার এক গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ বলে মনে করে জামায়াত।

১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট জিতল বাংলাদেশ


 ক্রীড়া প্রতিবেদক ॥২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে দুই টেস্টেই জিতেছিল বাংলাদেশ। সেটি ছিল দ্বিতীয় সারির এক উইন্ডিজ দল। মাঝে আরো তিনবার ক্যারিবীয় অঞ্চলে গিয়ে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। ১৫ বছর পর কাটল ওই জুজু।কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে ১০১ রানের বড় জয়ে। সিরিজ শেষ করেছে ১-১ সমতায়।

প্রথম টেস্টে বড় হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নেন নেতৃত্বভার পাওয়া মেহেদী মিরাজ। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তার দল।অলআউট হয় মাত্র ১৬৪ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন ওপেনার সাদমান ইসলাম।
জবাবে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৪৬ রানে অলআউট করেন তরুণ গতিময় পেসার নাহিদ রানা। তিনি ক্যারিয়ারে প্রথমবার ইনিংসে ৫ উইকেট নেন।বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস থেকে ১৮ রানের লিড পেয়ে যায়।
দ্বিতীয় ইনিংসে জাকের আলীর দৃঢ়তায় ২৬৮ রান করে বাংলাদেশ। জাকের একপ্রান্ত দিয়ে ৯১ রানের ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া সাদমান ৪৬ ও মিরাজ ৪২ রান যোগ করেন। বাংলাদেশ জয়ের জন্য স্বাগতিকদের ২৮৭ রানের লক্ষ্য দেয়।বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ১৮৫ রানে অলআউট হয়েছে ক্যারিবীয়রা। দলটির পক্ষে ওপেনার ও অধিনায়ক ব্রাথওয়েট ৪৩ রান করেন। কাভেম হগ ৫৫ রান যোগ করেন। তাইজুল ১৭ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট।

 

 

গাজর চাষ পদ্ধতি


 কৃষি প্রতিবেদক ॥ ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ পুষ্টিকর সবজি হলো গাজর । এতে ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস, শ্বেতসার এবং অন্যান্য ভিটামিন যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। তরকারি ও সালাদ হিসেবে গাজর খাওয়া যায়। গাজরের হালুয়া অনেকের প্রিয় খাবার। নিয়ম অনুযায়ী চাষ করলে গাজরের ভালো ফলন পাওয়া যায়। এটি সহজে নষ্ট হয় না। সারা বছর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই গাজর চাষ তুলনামূলক লাভজনক।

গাজরের জাত: সাধারনত বিদেশ থেকে বিভিন্ন জাতের গাজরের বীজ আমদানি করে চাষ করা হয়। যেমন-রয়েল ক্রস, কোরেল ক্রস, কিনকো সানটিনে রয়েল ও স্কারলেট নান্টেস। এছাড়াও আরও আছে পুষা কেশর, কুরোদা-৩৫, নিউ কোয়ারজা, সানটিনি, ইয়োলো রকেট ইত্যাদি জাতগুলো কৃষকদের নিকট জনপ্রিয়। এসব জাতের মধ্যে পুষা কেশর আমাদের দেশের জলবায়ুতে বীজ উৎপাদনে সক্ষম।
চাষ পদ্ধতি
মাটি :পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে এমন বেলে দোঁআশ ও দোআঁশ মাটি গাজর চাষের জন্য উপযোগী।
বীজ বপন সময়:আশ্বিন থেকে কার্তিক (মধ্য সেপ্টেম্বর-মধ্য নভেম্বর) মাস বীজ বপনের উত্তম সময়।
বীজ হার ও বীজ বপন: প্রতি হেক্টরে ৩-৪ কেজি বীজ লাগে।সারি-সারির দূরত্বঃ ২০-২৫ সেমি।গাছ-গাছের দূরত্বঃ ১০ সেমি
জমি তৈরী
১) গাজর চাষের জন্য ভালভাবে চাষ ও মই দিয়ে তৈরী করতে হবে।
২) জমির মাটি ঝুরঝুরে করে তৈরী করতে হবে।
৩) গাজরের বীজ সারিতে বপন করা ভাল। এতে গাজরের যতœ নেয়া সহজ হয়।
৪) গাজরের বীজ খুব ছোট বিধায় ছাই বা গুড়া মাটির সাথে মিশিয়ে বপন করা ভাল।এজন্য ভাল বীজের সাথে ভাল শুকনা ছাই বা গুড়া মাটি মিশিয়ে বপন করা যেতে পারে।
সার প্রয়োগ
গাজর চাষে হেক্টরপ্রতি নিম্নরূপ হারে সার প্রয়োগ করতে হবে।
সার সারেরপরিমাণ(প্রতিহেক্টরে)
১।গোবর/জৈবসার
২। ইউরিয়া
৩। টিএসপি
৪।এসওপি/এমপি ১০ টন
১৫০ কেজি
১২৫ কেজি
২০০ কেজি

সার প্রয়োগ পদ্ধতি
১) সম্পূর্ণ গোবর ও টিএসপি এবং অর্ধেক ইউরিয়া ও এমপি সার জমি তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে।
২) বাকি অর্ধেক ইউরিয়া সমান দুই কিসিৱতে চারা গজানোর ১০-১২দিন ও ৩৫-৪০ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
৩) বাকি অর্ধেক এমপি সার চারা গজানোর ৩৫-৪০ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে।

পরিচর্যা:
১। বীজ থেকে চারা গজাতে ১০-২০ দিন সময় লাগতে পারে। তবে বপনের আগে বীজ ভিজিয়ে রাখলে (১৮-২৪ ঘন্টা) ৭-১০ দিনের মধ্যে চারা বের হয়।
২। চারা গজানোর ৮-১০ দিন পর ৮-১০ সেমি পরপর ১ টি করে গাছ রেখে বাকী সব উঠিয়ে ফেলতে হবে। একই সাথে আগাছা পরিস্কার ও মাটির চটা ভেঙ্গে দিতে হবে।
৩। প্রয়োজনমত সেচ দেয়া ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। মাটির জো দেখে দুসপ্তাহ পরপর ৩-৪ টি সেচ দেয়া উৎপাদনের জন্য ভালো।
রোগ ও পোকা দমন
জাব পোকা: এ পোকা ও গাছের কচি অংশের রস শুষে খেয়ে গাছের সমূহ ক্ষতি করে। পোকা দমনের জন্য রগোর এল -৪০, ক্লাসিক ২০ ইসি, টিডফেট ৭৫ এসপি, টিডো ২০ এসএল ইত্যাদি কীটনাশকের যে কোন একটি অনুমোদিত মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে।অথবা, বাইকাও-১ প্রয়োগ করতে হবে।
পচারোগ: গাজর চাষে প্রায়শ এ রোগরে র্প্রাদুভাব লক্ষণীয়। গাজরে মূল ও পাতার গোড়ায় ব্যাক্টেরিয়াজনিত পচন রোগ দেখা যায়। উল্লখ্যে যে, নাইট্রোজনে সার অতিরিক্ত প্রয়োগে এ রোগ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ইউরিয়া সার প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে। কম্প্যানিয়ন ২ গ্রাম/লিটার পানি অথবা ইন্ডোফিল এম-৪৫ ২ গ্রাম/লিটার পানিতে স্প্রে করতে হবে।
গাজরের হলুদ ভাইরাস রোগ: লীফ হপার পোকার মাধ্যমে গাজরে অনেক সময় হলুদ ভাইরাস রোগ র্প্রাদুভাব দেখা যায়। এ পোকার আক্রমণের ফলে গাজরের ছোট বা কচি পাতাগুলো হলুদ হয় পরে কুঁকড়িয়ে যায় এবং লক্ষণীয়ভাবে গাছের পাতার পাশের ডগাগুলো হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে যায়।লীফ হপার পোকা দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে।আক্রান্ত ডালপালা কেটে ফেলতে হবে এবং চারপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সবিক্রন ৪২৫ ইসি ২ মিলি/লিটার পানি অথবা রেলোথ্রিন ১ মিলি/লিটার পানিতে স্প্রে করতে হবে।
ফসল সংগ্রহ : চারা গজানোর ৭০-৮০ দিন পর সবজি হিসেবে গাজর খাওয়ার জন্য তোলার উপযুক্ত হয়। হেক্টরপ্রতি গাজরের ফলন ২০-২৫ টন।

 


নভেম্বরে রপ্তানি আয় এসেছে ৪১১ কোটি ৯৭ লাখ ডলার



গত নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ৪১১ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। বছর ব্যবধানে বেড়েছে ১৫ দশমিক ছয় তিন শতাংশ।বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো- ইপিবির হিসেবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস অর্থ্যাৎ জুলাই থেকে নভেম্বরে মোট রপ্তানি হয়েছে এক হাজার ৯৯০ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য।গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা বেড়েছে পৌঁনে ১২ শতাংশ।  নভেম্বরে শুধু তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয় এসেছে ৩৩০ কোটি ৬২ লাখ ডলার। বছর ব্যবধানে পোশাক খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।

এই সময়ে কৃষি খাতের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ এবং উৎপাদনমুখী শিল্পের রপ্তানি বেড়েছে ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। হোমটেক্সাটাইলে বেড়েছে প্রায় ২১ শতাংশ।  কিছুটা কমেছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের পরিমাণ।

চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি হয়েছে এক হাজার ৪৩৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের পণ্য। বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ।


Tuesday, December 3, 2024

সীমান্তে অপতৎপরতা রোধে সতর্ক বিজিবি



সীমান্তে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কিংবা অপতৎপরতা রোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সতর্ক রয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিজিবি সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। 


গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়া শুরু করে ঢাকার। সম্প্রতি হিন্দু পুরোহিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের ঘটনার পর এ উত্তেজনার পারদ চরমে উঠেছে। ভারতে বেশ কয়েকটি সংগঠন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে। 


ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।


বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিপীড়নের অভিযোগ এবং সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গতকাল সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশ অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনে ভাঙচুর করা হয়। সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে তা ছেঁড়া ও  আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এরই মধ্যে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। বরখাস্ত হয়েছেন ত্রিপুরার তিন পুলিশ সদস্য।


নতুন টাকায় থাকছে ‘জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি’



২০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের ডিজাইন পরিবর্তন করছে সরকার। নতুন নোটে থাকবে না শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। নতুন করে যুক্ত হবে ধর্মীয় স্থাপনা, বাঙালি ঐতিহ্যসহ ‘জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি’। 

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। নতুন নোট ছাপানোর বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাজারে আসবে নতুন টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থমন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান নকশা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে চারটি নোটের ডিজাইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে ধাপে ধপে দেশের সব ধরনের ব্যাংক নোটের ডিজাইন নতুন করা হবে। 

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ নতুন নোটের বিস্তারিত নকশার প্রস্তাব জমা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়। 

তবে  নতুন নোট ছাপানোর বিষয়ে মূল সুপারিশ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা ও নকশা উপদেষ্টা কমিটি। কমিটির সভাপতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর-১। কমিটিতে চিত্রশিল্পীরাও রয়েছেন।

বাংলাদেশের মুদ্রা ছাপানোর কাজটি করে দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড, যা টাঁকশাল নামে পরিচিত। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠা পেলেও ১৯৮৮ সালের জুন মাসে এক টাকা ছাপানোর মধ্য দিয়ে এই প্রেসে নোট ছাপানো শুরু হয়। ওই বছরের নভেম্বর মাসে ১০ টাকার নোটও ছাপানো হয় সেখানে। প্রতিটি নোট ছাপানোর আগে তার নকশা অনুমোদন করে সরকার। সেজন্য দরপত্র ডেকে চিত্র শিল্পীদের দিয়ে নোটের নকশা করানো হয়।

নকশা চূড়ান্ত হলে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে কাগজ, কালি ও প্লেট তৈরি করা হয়। নকশা অনুযায়ী বিদেশ থেকে প্লেট তৈরি করে আনার পর ছাপার কাজটি করে টাঁকশাল।

বর্তমানে বাংলাদেশের ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার ১০টি কাগুজে নোট প্রচলন আছে। এর মধ্যে ২ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত সব কাগুজে নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আছে। কোনো কোনো নোটের দুপাশে শেখ মুজিবের ছবি রয়েছে। এ ছাড়া ধাতব মুদ্রাগুলোতেও তার ছবি আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে নতুন নোট ছাপতে। তার আগের অর্থবছরে খরচ ছিল ৩৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। সবশেষ নতুন নকশায় ২০০ টাকার নোট চালু হয় ২০২০ সালে। ওই নোটে বঙ্গবন্ধুর ছবিতে নতুন রূপ দেওয়া হয়। আগে ছাপানো নোটে ব্যবহৃত বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দিয়ে আরও স্পষ্ট করে দুই ধরনের ছবি ব্যবহার করা হয় ২০২০ সাল থেকে। এরপর ছাপানো সব নোটে ওই দুই ধরনের ছবিই ব্যবহার করা হয়েছে।


থাইল্যান্ডকে উড়িয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস

 ক্রীড়া প্রতিবেদক ॥ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। যুব এশিয়া কাপে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেই প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপে খেলার টিকিট নিশ্চিত করবে। আজ বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল সেই ইতিহাসই গড়েছে।

থাইল্যান্ডকে উড়িয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস
ওমানের মাসকটে মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল।সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রতিপক্ষকে একদম উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। প্রথম কোয়ার্টারে থাইল্যান্ডের জালে ২ গোল দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে সমানে সমানে লড়াই করে দুই দল। দুই দলই একটি করে গোল করে।এতে ৩-১ ব্যবধানে মধ্য বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। তৃতীয় কোয়ার্টারে খেলতে নেমে প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেয়নি কোচ মওদুদুর রহমানের ছেলেরা। ৩ গোল দিয়ে যেন ম্যাচের ফলই নির্ধারিত করে দেন বাংলাদেশের যুবারা। চতুর্থ ও শেষ রাউন্ডে থাইল্যান্ডকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে অবিশ্বাস্য কিছু করতে হতো।কারণ ৬-১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল তারা। শেষ রাউন্ডে শুধু একটা গোলই দিতে পেরেছে তারা। তবে বাংলাদেশও চূড়ান্ত রাউন্ডে এক গোল পেয়েছে। এতে ৭-২ ব্যবধানের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ।

থাইল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো পর্যায়েই হারেনি বাংলাদেশ।সেই ধারা আজও অক্ষত রেখেছে বাংলাদেশের যুবারা। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সময় খেলোয়াড়দের উদযাপনটা ছিল দেখার মতো। ডাগআউট থেকে কেউ বাংলাদেশের পতাকা জড়িয়ে মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েন, কেউবা সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাসে মাতেন। আর কেউ কেউ হাঁটু গেড়ে বসে আনন্দের কাঁদেন।

আগামী বছর ভারতে হবে যুব বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্টে এশিয়ার ৭ দল অংশ নিবে। স্বাগতিক হওয়ায় ভারতের জায়গা নিশ্চিত। বাকি ছয় দল সুযোগ পাবে ওমানে চলমান জুনিয়র এশিয়া কাপ থেকে। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল থেকে বাংলাদেশের আশা আগেই শেষ হয়েছে। স্বপ্ন ছিল শুধু বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে স্বপ্ন পূরণের সঙ্গে এখন পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থান নির্ধারনী ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

এক নজরে বাঁধাকপি চাষ

 






 


উন্নত জাতঃ বারি বাঁধাকপি-১ (প্রভাতী), বারি বাঁধাকপি-২ (অগ্রদূত), বারি চীনাকপি, ইপসা বাঁধাকপি-১


পুষ্টিগুনঃ প্রতি ১০০ গ্রাম বাঁধাকপিতে ৯১.৯ গ্রাম পানি, ১.৮ গ্রাম আমিষ,০.১ গ্রাম চর্বি, ০.৬ গ্রাম খনিজ, ১.০ গ্রাম আঁশ, ৪.৬ গ্রাম শ্বেতসার রয়েছে। খনিজ লবনের মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম ৩৯ মিগ্রা, ম্যাগনেসিয়াম ১০ মিগ্রা, ফসফরাস ৪৪ মিগ্রা, লৌহ ০.৮ মিগ্রা, সোডিয়াম ১৪.১ মিগ্রা, কপার ০.০৮ মিগ্রা ও সালফার ৬৭ মিগ্রা।


বপনের সময়ঃ আগাম জাতের জন্য শ্রাবণ-ভাদ্র থেকে ভাদ্র-আশ্বিন, মধ্যম আশ্বিন-কার্তিক কার্তিক-আগ্রহায়ণ এবং নাবি জাতের জন্য অগ্রহায়ণ-মধ্য পৌষ থেকে পৌষ-মধ্য মাঘ।


চাষপদ্ধতি: গভীর ভাবে ৪-৫টি চাষ দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে তৈরি করতে হবে। বীজ বপনের ৩০-৩৫ দিন পর বা ৫/৬টি পাতা বিশিষ্ট ১০-১৫ সেন্টিমিটার লম্বা  চারা সাধারণতঃ বিকেল বেলা জমিতে রোপণ করতে হয়। তবে সুস্থ  ও সবল হলে চারা এক-দেড় মাস বয়সের চারা রোপণ করা যায়। রোপণের জন্য সারি থেকে সারির দুরত্ব ২৪ ইঞ্চি এবং প্রতি সারিতে চারা থেকে চারার দূরত্ব ১৮  ইঞ্চি দিলে ভাল হয়। এ হিসেবে প্রতি শতকে ১৫০টির মত চারার প্রয়োজন হয়। আঙ্গিনায় ৫ মিটার লম্বা একটা বেডের জন্য ২০-২২টি চারার প্রয়োজন হয়। বেডে দুই সারিতে চারাগুলো লাগাতে হবে। আঙ্গিনায় লাগানোর জন্য যেহেতু কম চারার দরকার হয় সেজন্য কোন বিশ্বস-নার্সারি থেকে চারা কিনে লাগানো ভাল। তবে একটা বেডে বাঁধাকপির চারা তৈরি করে অল্পদিনের মধ্যেই তা বিক্রি করে যেমন অধিক লাভবান হওয়া যায় তেমনি নিজের প্রয়োজনও মেটানো যায়। এত ভাল চারা পাওয়াটা নিশ্চিত হয়।


বীজের পরিমানঃ  জাত ভেদে শতক প্রতি ১.৫-২ গ্রাম।


সার ব্যবস্থাপনাঃ


সারের নাম


শতক প্রতি সার


হেক্টর প্রতি সার


কম্পোস্ট


১২৫ কেজি


 ৫০০০-১০০০০কেজি


ইউরিয়া


১ কেজি


৩৫০ কেজি


টিএসপি


০.৮ কেজি


২৫০ কেজি


পটাশ


০.৬৫ কেজি


২৫০ কেজি


সম্পূর্ণ গোবর ও টি এস পি সার জমি তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া ও এম ও পি সার ২ কিস্তিতে চারা রোপণের ২০ থেকে ২৫ দিন পর একবার এবং ৩০ -৪০ দিন পর আর একবার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। সার দেওয়ার পরপর হালকা সেচ দিতে হবে।


সেচঃ বাঁধাকপি গাছের সারির মাঝে সার দেয়ার পর সারির মাঝখানের মাটি তুলে দুপাশ থেকে গাছের গোড়ায় টেনে দিন। এতে সেচ ও নিকাশের সুবিধা হয়। খেয়াল রাখুন জমিতে যেন পানি বেশি সময় ধরে জমে না থাকে।


আগাছাঃ জমি  নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষণ করুন । সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র  নিড়িয়ে আগাছা  বাছাই। চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে। গাছ খুব ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে।চারা অবস্থা থেকে রসুন  গঠনের পূর্ব পর্যন্ত ২ থেকে ৩ বার নিড়ানি দিয়ে জমির আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে।


আবহাওয়া ও দুর্যোগঃ অতি বৃষ্টির কারনে জমিতে পানি বেশি জমে গেলে নালা তৈরি করে তাড়াতাড়ি পানি সরানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।


পোকামাকড়ঃ


    কপির লেদা পোকা-সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (যেমন ওস্তাদ ২০ মিলিলিটার  অথবা ম্যাজিক অথবা কট ১০ মিলিলিটার) প্রতি ১০লিটার পানিতে  মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০-১২ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

    কপির কাটুই পোকা- আক্রমণ বেশি হলে কারটাপ জাতীয় কীটনাশক (কেয়ার ৫০ এসপি অথবা সানটাপ ৫০ এসপি  ২০ মিলি / ৪ মূখ) অথবা ল্যামডা-সাইহ্যালোথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (ক্যারাটে ২.৫ ইসি অথবা ফাইটার প্লাস ২.৫ ইসি ১৫ মিলি/ ৩ মূখ) ১০ লিটার প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

    জাব পোকা-সাদা রং এর আঠালো ফাদ ব্যবহার করুন।আক্রমণ বেশি হলে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার / ২মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।


রোগবালাইঃ


    মোজাইক ভাইরাস রোগ-জমিতে সাদা মাছি দেখা গেলে (বাহক পোকা) ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয়  কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ১০ মি.লি. ২ মুখ ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে।

    বাঁধাকপির অল্টারনারিয়া জনিত পাতার দাগ রোগ- ম্যানকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক (যেমনঃ রিডোমিল গোল্ড ২০ গ্রাম) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সবজি বিষাক্ত থাকবে।

    গোড়া পচা রোগ/ ডেমপিং অফ- কার্বান্ডিজম জাতীয় ছত্রানাশক যেমনঃএমকোজিম ৫০; অথবা গোল্ডাজিম ৫০০ ইসি ১০ মিলি/ ২ মুখ ১০ লি পানিতে মিশিয়ে ৭ দিন পরপর ৩ বার গাছের গোড়ায় ও মাটিতে স্প্রে করুন। আক্রমণ বোশি হলে প্রথম থেকে প্রতি লিটার পানিতে ২গ্রাম রোভরাল মিশিয়ে স্প্রে করুন।


সতর্কতাঃ  বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যবহারের আগে বোতল বা প্যাকেটের গায়ের লেবেল ভালো করে পড়ুন এবং নির্দেশাবলি মেনে চলুন। ব্যবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন। ব্যাবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবে না। বালাইনাশক ছিটানো জমির পানি যাতে মুক্ত জলাশয়ে না মেশে তা লক্ষ্য রাখুন। বালাইনাশক প্রয়োগ করা জমির ফসল কমপক্ষে সাত থেকে ১৫ দিন পর বাজারজাত করুন। বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যাবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন। ব্যবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবে না।


ফলনঃ জাত ভেদে শতক প্রতি ফলন ১৫০-১৮০কেজি।


সংরক্ষনঃ ছায়ায় সংরক্ষণ করুন। মাঝে মাঝে পানি ছিটিয়ে দিন। বেশি দিন সংরক্ষণ এর জন্য হিমাগারে রাখুন।


নাটককে বিদায় জানালেন ফারিয়া শাহরিন, কিন্তু কেন


আপাতত নাটককে বিদায় জানালেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নাটককে বিদায় জানানোর কারণও জানিয়েছেন লাক্স তারকা এ অভিনেত্রী।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) ফারিয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে জানান, আর নাটকে দেখা যাবে না তাকে। সংসার ও সন্তান নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেত্রী।

ফারিয়া ফেসবুকে লেখেন, ‘যারা মাঝখানে আমাকে ফোন করেছিলেন, মেসেজ করেছিলেন কাজের জন্য, সরি আমি কারো ফোন ধরতে পারিনি, মেসেজের রিপ্লাইও করতে পারিনি। কারণ, ওই ফোন টাই আমি অনেক দিন ইউজ করিনি। সো সবার রিপ্লাই একসাথে দিচ্ছি, আপাতত নাটক এ কাজ করছি না। কবে করব, এটাও জানি না কিন্তু ভালো টিভিসি হলে করবো। ধন্যবাদ।’ 


২০০৭ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়ে শোবিজ অঙ্গনে পরিচিতি পান ফারিয়া। এরপর বিজ্ঞাপনে মডেল ও নাটকে অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন। 

ব্যক্তি জীবনে ২০২১ সালে আংটি বদলের পর ২০২৩ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ফারিয়া। চলতি বছরের মে মাসে দেখেন প্রথম সন্তানের মুখ। এরপর থেকেই শোবিজপাড়া থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আপাতত নাটকে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


বাংলাদেশ-ভারত নিয়ে পোস্ট বিপাকে কন্ঠশিল্পী লগ্নজিতা



কলকাতার জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তী আবারো সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইস্যুতে ‘হিন্দু-মুসলিম’ প্রসঙ্গ টেনে ফেসবুকে নিজের মতামত জানালে, তাকে তীব্র ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হয়। এই ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে গায়িকাকে বিদ্রুপ, কটাক্ষ এবং হুমকির মুখে পড়তে হয়। যদিও পাল্টা জবাব দিয়েছেন তিনি, তারপরও ট্রোলিং বা থ্রেট বন্ধ হয়নি। অবশেষে সমস্ত পোস্ট ডিলিট করে দেন লগ্নজিতা।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) লগ্নজিতা তার ফেসবুকে একটি পোস্টে লেখেন, ভেবেছিলাম এই হিন্দু-মুসলিমের ব্যাপারটা আমরা পেরিয়ে এসেছি, অনেক দিন, বছর, কাল আগেই। কোনো দিন ভাবিনি ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে, এই বিষয়টা নিয়ে একটা পোস্ট করতে হবে। এটা অতীত হয়ে গেছে, এমনটাই আমার ভাবনা ও চিন্তা ছিল। 

এই পোস্ট করার পরই শুরু হয় তীব্র ট্রোলিং। অনেকেই মন্তব্য করেন, লগ্নজিতা কিছুই জানেন না এই বিষয় সম্পর্কে। আবার কেউ কেউ লেখেন, গায়িকাকে বাংলাদেশের শ্রোতা ধরে রাখতে হবে। এসব ট্রোল সয়ে নিয়ে গায়িকা পাল্টা জবাব দেন। তিনি লেখেন, অনেকে বলছেন, এই যে আমার হিন্দু-মুসলিম নিয়ে ভাগ করতে ইচ্ছে করে না, করছে না। এটার কারণ নাকি সিপিএমের ৩৪ বছরের শাসন, আমি নাকি কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতে কী হয় কিছুই জানি না, আমি নাকি খুবই অশিক্ষিত, আমার আরো শিক্ষিত হওয়া উচিত ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি।

তিনি আরো বলেন, তবে আমি তো হিন্দু-মুসলিম যে ভাই-ভাই, এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, এনাদের থেকে শিখেছিলাম। তো রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলও কি সিপিএম ছিলেন? জাস্ট জানতে চাইছি।

লগ্নজিতা এরপর বলেন, শুনুন, থ্রেট শুনে আজকাল হুমকিরও বিরক্ত লাগে। যে কোনো জিনিস একঘেয়ে হয়ে গেলে যা হয় আরকি। আমি তো আপনার অফিস যাওয়া নিয়ে কিছু বলছি না। আমার গান গাওয়া নিয়ে আপনার এত সমস্যা কোথায়?

এছাড়াও, গায়িকা মহাত্মা গান্ধীর মন্তব্য শেয়ার করে লেখেন, তাহলে এখন থেকে আমি কংগ্রেস হয়ে গেলাম (যেভাবে আপনারা ট্রেন্ড ঠিক করে দিচ্ছেন আরকি)।

রবিবার, তার পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যে গায়িকা তার পুরোনো সব পোস্ট ডিলিট করে দেন। এরপর তিনি আরেকটি পোস্ট করেন, যেখানে তিনি লেখেন, আমার পরিবার (আমার ব্যক্তিগত জীবন) এবং আমার ব্যান্ড (আমার পেশাদার জীবন)-এর কাতর অনুরোধ, তাদের যেন আর অসম্মান না হয়, আমি আমার সমস্ত পোস্ট ডিলিট করতে বাধ্য হলাম। সমালোচনাকারীরা, আপনার জিতে গেলেন। আনন্দ করুন।

এভাবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক মন্তব্যের পর লগ্নজিতা চক্রবর্তী শেষ পর্যন্ত নিজের সমস্ত পোস্ট ডিলিট করতে বাধ্য হন, এবং সমালোচনাকারীদের সাফ জবাব দেন।


বাজেট পাস করিয়ে অনাস্থা ভোটের ঝুঁকি নিলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী



এনএনবি : ফ্রান্সে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে ক্ষোভের কারণে ৫৩ শতাংশ মানুষ যখন সকারের পতন চাইছে, ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে বিশেষ ক্ষমতাবলে পার্লামেন্টে এমপি’দের ভোট ছাড়াই পাস করিয়ে নিয়েছেন তার বাজেট বিল।

এর মধ্য দিয়ে বার্নিয়ে তার সরকারের অনাস্থা ভোটের মুখে পড়ারই ঝুঁকি নিয়েছেন। বিবিসি লিখেছে, বিরোধীদলগুলো এখন সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আনতে উদ্যত হবে। আর তা হতে পারে বুধবার নাগাদই।

অনাস্থা ভোট হলে বার্নিয়ের সংখ্য্লাঘু সরকারের তাতে টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ, পতন ঘটতে পারে সরকারের।

প্রস্তাবিত বাজেটের লক্ষ্য- ৬ হাজার কোটি ইউরো কর বাড়িয়ে এবং ব্যয় কাটছাঁট করে ফ্রান্সের বাড়তে থাকা সরকারি ঘাটতি কমানো। নভেম্বরে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৬৭ শতাংশ মানুষ এই বাজেটের বিরোধিতা করেছে।

এরপরও প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে সোমবার ফ্রান্সের সংবিধানের ৪৯.৩ আর্টিকেল কাজে লাগিয়ে পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষে কোনও ভোটাভুটি ছাড়াই বিলটি পাস করিয়ে নিয়েছেন।

বামপন্থি বিরোধীদল এবং কট্টর ডান-পন্থি ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন) দলের বিরোধিতার মুখেও বার্নিয়ে এ পদক্ষেপ নেন। ফ্রান্সের কট্টর-বামপন্থি দল এলএফআই- এর নেত্রী বলেছেন, তার দল সোমবারেই আনুষ্ঠানিকভাবে অনাস্থা ভোট করার আবেদন জানাবে।

বাম-পন্থি জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি) এর কয়েকজন সদস্য ইতোমধ্যেই বলেছেন, তাদের দল বার্নিয়ের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। ওদিকে, আরএন এর রাজনীতিবিদ মারিন ল্য পেন বলেছেন, তার দলের পেনশনের দাবি পূরণ না হলে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উৎখাত করতে ভোট দেবেন।

গত সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সে প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়েকে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ। ফ্রান্সের রিপাবলিকান পার্টির (এলআর) হয়ে রাজনীতি করেছেন বার্নিয়ে।

গত জুন ও জুলাইয়ে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত আগাম জাতীয় নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে রাজনৈতিকভাবে বড় তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে পড়ে পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদ। এই বিভক্তি এড়িয়ে টেকসই সরকার গঠনের চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছিল বার্নিয়েকে।

প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর পছন্দ ঘিরে অসন্তোষ দেখিয়েছিল বামপন্থি রাজনৈতিক জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি)। জুলাইয়ের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল দলটি।

তাদের অভিযোগ ছিল, নির্বাচনে এনএফপি ভাল করলেও ডানপন্থি একজনকে প্রধানমন্ত্রী করা হচ্ছে। তারা তখনই সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার সংকল্প নিয়েছিল। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, বার্নিয়েকে সরকার টিকিয়ে রাখতে কট্টর-ডান আরএন এর ওপর নির্ভর করতে হবে।

যুক্তরাজ্যে বিক্রি হওয়া ‘ইতালীয়’ টমেটো পিউরিতে চীনের বাধ্যতামূলক শ্রমের ছাপ

চীনের উৎপাদিত টমেটোর বেশির ভাগই আসে শিনজিয়াং থেকে। সেখানে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘু মানুষকে জবরদস্তি কাজ করিয়ে টমেটো উৎপাদন করানো হয় বলে অভিযোগ আছে।


যুক্তরাজ্যে বিক্রি হওয়া ‘ইতালীয়’ টমেটো পিউরিতে চীনের বাধ্যতামূলক শ্রমের ছাপ

এনএনবি : যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি সুপারমার্কেটে বিক্রি হওয়া ‘ইতালীয়’ টমেটো পিউরি আদতে চীন থেকে আসা এবং তাতে চীনের বাধ্যতামূলক শ্রমের যোগসূত্র পাওয়া গেছে বিবিসি’র এক অনুসন্ধানে।

বলা হচ্ছে, এই ‘ইতালীয় টমেটো পিউরি’ যেসব টমেটো দিয়ে তৈরি, সেগুলো চীনের শিনজিয়াং অঞ্চল থেকে এসে থাকতে পারে- যেখানে বাধ্যতামূলক শ্রম দিয়ে পণ্য উৎপাদনের অভিযোগ রয়েছে।

বিক্রি হওয়া কিছু টমেটো পিউরির নাম পুরোপুরি ইতালীয় ভাষার। আবার অনেক টমেটো পিউরির বোতলে এমনও লেখা আছে যে, সেটি ‘ইতালিতে উৎপাদিত টমেটো দিয়ে তৈরি’।

বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের উদ্যোগে পরীক্ষা করা ১৭ টি পণ্যে চীনা টমেটো থাকার সম্ভাবনা দেখা গেছে। যেগুলোর বেশিরভাগই যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির নিজস্ব ব্র্যান্ডে বিক্রি হয়েছে। যদিও বোতলে লাগানো লেবেল থেকে মনে হয় সেগুলো ইতালি থেকে আসা।

চীনের উৎপাদিত টমেটোর বেশির ভাগই আসে শিনজিয়াং থেকে। সেখানে উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনকে জবরদস্তি কাজ করতে বাধ্য করে এই টমেটো উৎপাদন করানো হয় বলে অভিযোগ করে আসছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।

জাতিসংঘও শিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ করেছে চীনের বিরুদ্ধে। নিরাপত্তায় ঝুঁকি মনে করে এই সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন চালায় চীন। জাতিসংঘ বলছে, শিনজিয়াংয়ে ১০ লাখ মুসলিমকে ক্যাম্পে আটকে রেখে কঠোর পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন রয়েছে।

তবে চীন এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলে আসছে, ওই ক্যাম্পগুলো উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। জাতিসংঘ প্রতিবেদন মিথ্যা এবং ভ্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে চীন।

বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ টমেটো উৎপাদন হয় চীনে। এর মধ্যে শিনজিয়াংয়ের আবহাওয়া এই সবজি উৎপাদনের জন্য বেশি উপযোগী। শিনজিয়াংয়ে উৎপাদিত টমেটো সাধারণত ইউরোপে পৌঁছায় ট্রেনে কাজাখস্তান, আজারবাইজান এবং জর্জিয়া হয়ে। এই চালান যায় ইতালিতে। শিপিং ডাটা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

বিবিসি’র এই বিশ্লেষণে ইতালির টমেটো-পক্রিয়াকরণ একটি কোম্পানির নাম বারবার উঠে এসেছে। সেটি হচ্ছে অ্যান্টোনিও পেটি। এই ইতালীয় কোম্পানি চীনের শিনজিয়াং অঞ্চলের টমেটোর প্রধান আমদানিকারক। ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কোম্পানিটি ৩ কোটি ৬০ লাখ কেজির বেশি টমেটো আমদানি করেছে শিনজিয়াং গুয়ানং কোম্পানি থেকে।

বিবিসি’র গোপন এক অনুসন্ধানে পেটি কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার একথা স্বীকারও করেছেন যে, তারা খরচ কমাতে চীনের টমেটো ব্যবহার করেন। ইতালির এই পেটি গ্রুপ টমেটোজাত পণ্য নিজেদের নামে তৈরি করে। আবার ইউরোপজুড়ে বিভিন্ন সুপারমার্কেটে তা সরবরাহও করে। যেখানে এই টমেটোজাত পণ্য সেখানকার নিজস্ব ব্র্যান্ডে বিক্রি হয়।

বিবিসি তাদের অনুসন্ধানে যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া ৬৪ টি ভিন্ন টমেটো পিউরির ল্যাব পরীক্ষা করেছে। এরপর চীন এবং ইতালি থেকে আনা নমুনার সঙ্গে সেগুলোর তুলনামূলক পরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে ছিল শীর্ষ ইতালিয়ান ব্র্যান্ড এবং সুপারমার্কেটগুলোর নিজস্ব ব্র্যান্ডের টমেটো পিউরি। দেখা গেছে, সেগুলোর বেশির ভাগই ইতালির পেটি কোম্পানির তৈরি টমেটো পিউরি।


আসাদকে সহায়তায় সিরিয়ায় ঢুকেছে ইরান-পন্থি ইরাকি মিলিশিয়ারা



এনএনবি : ইরান-সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়ারা ইরাক থেকে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে। সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী আলেপ্পোর অধিকাংশই বিদ্রোহীদের দখলে চলে যাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সহায়তা করতে এই মিলিশিয়ারা সিরিয়ায় ঢুকেছে।

সিরিয়া ও ইরাকের কর্মকর্তারা সোমবার একথা জানিয়েছেন। তেহরান দামেস্ক সরকারকে সহায়তা করার অঙ্গীকার করেছে।

ইরাকের দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিকভাবে বদর এবং নুজাবা গোষ্ঠীর অন্তত ৩০০ যোদ্ধা রোববার রাতে সীমান্ত ক্রসিং এড়িয়ে ট্রাকে করে সড়কপথে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে।

সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, উত্তরের ফ্রন্ট লাইনে আমাদের কমরেডদের সহায়তা করার জন্য নতুন করে এই যোদ্ধাদের পাঠানো হচ্ছে। বিমান হামলা এড়াতে এই যোদ্ধারা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সিরিয়ায় পৌঁছেছে বলে জানান তিনি।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় ইরান শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী পাঠিয়েছিল। রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তায় এই বাহিনী সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদকে বিদ্রোহ দমনসহ দেশের অধিকাংশ এলাকা পুনর্দখলে সহায়তা করেছিল।

২০২০ সাল থেকে সিরিয়ায় যুদ্ধে লিপ্ত বিদ্রোহী ও সরকার দুই পক্ষই শান্ত ছিল। কিন্তু বিদ্রোহীদের একটি জোট এ সপ্তাহে আকস্মিক হামলা চালায় আলেপ্পোয়। ইসলামপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম এই আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি সোমবার বলেছেন, সিরিয়ার সামরিক বাহিনী বিদ্রোহীদেরকে মোকাবেলা করতে সক্ষম। তবে তেহরান-সমর্থিত আঞ্চলিক মিলিশিয়া গোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রতিরোধ গোষ্ঠী তাদেরকে সহায়তা করবে এবং ইরান প্রয়োজন পড়লে যে কোনও সহায়তা দেবে।

সিরিয়া সরকার এবং রাশিয়ার জঙ্গিবিমান সোমবার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে বলে জানিয়েছে অধিবাসী ও উদ্ধারকর্মীরা। উদ্বাস্তু মানুষদের একটি শিবিরেও হামলা হয়েছে। এতে ৭ জন নিহত হয়।


Monday, December 2, 2024

মিরপুরে অভিযান চালিয়ে ৪টি ইট ভাটায় ৬ লাখ টাকা জরিমানা ও ১টি ইট ভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

 





কুষ্টিয়া, ০২ ডিসেম্বর’ ২০২৪॥ কুষ্টিয়ার মিরপুরে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ৪টি ইট ভাটায় ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর । এছাড়াও ১টি ইট ভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত।

আজ সোমবার থেকে অভিযান চালিয়ে উপজেলার টিপি আর ব্রিকসকে ১ লাখ ৫০ হাজার, এম আর ব্রিকসকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, এবি ব্রিকসকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও একে বি ব্রিকস ১লাখ ৫০ হাজার মোট ৬লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তর অফিসের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী সচিব মমতাজ বেগম। এছাড়াও এএস এম ব্রিকস নামের আরো ১টি অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার প্রধান কেমিষ্ট্র হাবিবুর বাশারসহ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযান পরিচালনার সময় ইট ভাটা মালিক ও শ্রমিকদের বাঁধার মুখে পড়তে হয় পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত। 


কুষ্টিয়ায় ষ্টেশনের সংস্কারের দাবিতে আপ বাংলাদেশের গণস্বাক্ষর ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : দেশের অন্যতম প্রাচীন কুষ্টিয়া কোর্ট এষ্টেশনের জনদূর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। আর তাই এই সমস্যা দূরীকরণে কোর্ট ষ্টেশনের প্লাটফর্...